জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পরমেশ্বরদী গ্রামের সৈয়দ মাসুদ এবং নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মাতব্বরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় পরমেশ্বরদী কুমার নদের ব্রিজের উপর দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চেয়ারম্যান মান্নানের সমর্থকরা মাসুদ সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করেন। এসময় পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চরপাড়া, কাজীপাড়া ও চৌধুরীপাড়ার শতাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা, ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ি ও ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জড়িত সন্দেহে পুলিশ পরমেশ্বরদী গ্রামের শারফিন, ময়েনদিয়া গ্রামের গিয়াসউদ্দীন, ময়েনদিয়া বেড়িবাঁধের আতাহের, সালথার খারদিয়া গ্রামের এনামুল শেখ এবং যদুনন্দি ইউনিয়নের রনি মোল্যাকে আটক করে।
পরমেশ্বরদী গ্রামের সৈয়দ মাসুদের অনুসারী ৩ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সহসভাপতি জিল্লু মোল্যা অভিযোগ করেন, ‘চেয়ারম্যান মান্নানের অনুসারী জলিল মোল্যার নেতৃত্বে মান্নান মোল্যা, চুন্নু কাজী, নজরুল কাজী, সোলাইমানসহ অন্যরা আমাদের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান মান্নান মাতব্বরকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি জানান, ‘গোলমাল নিয়ে প্রশাসনের একটা মিটিং চলছে। আমি সেই মিটিং এ আছি। পরে কথা বলবো।’
ডহরনগর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মোক্তার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দীন জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।